এক সেকেন্ডের ভুলেই মায়ের চোখের সামনে ১২ তলা থেকে পড়ে গেলো তার নিজের সন্তান

screenshot 2025 07 31 144237

এক মুহূর্তের অসতর্কতায় জীবন কতটা ভয়ঙ্করভাবে বদলে যেতে পারে, তারই এক বেদনাদায়ক উদাহরণ মহারাষ্ট্রের এই ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে এক মায়ের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছোট্ট শিশু বড় সাইজের জুতা পরে দুষ্টুমি করে হাঁটছে। মা এসে তাকে পিঠে আস্তে করে এক চড় মেরে জুতার র‍্যাকে বসিয়ে দেন— যেনো আর দুষ্টুমি না করে। তারপর মা নিচে ঝুঁকে নিচের দিকের জুতা নিতে যান। মাত্র এক সেকেন্ড! ঠিক তখনই শিশুটি পেছন দিকের খোলা জানালা দিয়ে সোজা নিচে পড়ে যায়— বারোতলা নিচে।

সিসিটিভি না থাকলে হয়তো কেউ বিশ্বাসই করতে পারত না এমন দুর্ঘটনা এত দ্রুত ঘটতে পারে। মা যখন ঘুরে তাকান, ততক্ষণে সব শেষ। সেই মুহূর্তের অসহায়তা, নিজের চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু— কল্পনাই করা যায় না সেই মায়ের মানসিক অবস্থা।

পিতামাতার অপরাধবোধ

একজন মা বা বাবার কাছে সন্তানের নিরাপত্তা সবকিছুর আগে। কিন্তু জীবনে কখনো কখনো এক মুহূর্তের ভুল, একটুখানি অসতর্কতা, তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শাস্তিতে পরিণত হয়।

আমি নিজেই মনে করি, একবার মোমবাতির আগুনে আমার হাত থেকে আমার শিশুর গায়ে ফোস্কা পড়েছিল। আজও ভাবলে বুক ফেটে কান্না আসে— আমি এত অসতর্ক হলাম কীভাবে? অথচ সেই ভুলের ক্ষত অনেকদিন আমার ভেতরটা পোড়াতো।

তাহলে সেই মা, যিনি নিজের হাতে সন্তানের দুষ্টামি আটকাতে তাকে উঁচু র‍্যাকে বসিয়েছিলেন, পরে যখন দেখলেন সেই জায়গা থেকেই খোলা জানালা দিয়ে সন্তান পড়ে গেছে— তিনি নিজেকে কীভাবে ক্ষমা করবেন?

screenshot 2025 07 31 144237

ছবি সংগৃহীত

মর্মান্তিক বাস্তবতা

অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না— ঘরের ভেতরের ছোট ছোট অসতর্কতাই কত ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই বদলে যায় সবকিছু। এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই লাখো মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেছে।

মায়ের সেই অপরাধবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার কষ্টটা মৃত্যুর থেকেও বড় শাস্তি। সন্তানের শেষ মুহূর্তটা চোখের সামনে দেখার মতো যন্ত্রণা পৃথিবীর আর কিছুতেই হয় না।
ই ঘটনা শুধু এক মায়ের নয়— আমাদের সবার জন্য এক নির্মম শিক্ষা। শিশুদের পাশে থেকে একটু বেশি সতর্ক থাকাটাই তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। কারণ এক মুহূর্তের ভুল হয়তো আমাদের জীবন থেকে কেড়ে নিতে পারে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি।

আসুন, প্রতিটি সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবাই আরও সচেতন হই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *