চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দেবে গেছে। শহরের ব্যস্ততম ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন রুটের একটি বড় অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট। পাশাপাশি নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, দোকানপাট আর বাসাবাড়ি।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাত থেকেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুধুমাত্র সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সময়েই নেমেছে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই নগরজুড়ে পানি জমে যায়।
সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে নগরীর রাহাত্তারপুল, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, আগ্রাবাদ এবং চকবাজার এলাকায়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের বাসা-বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পণ্যসামগ্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুল হক বলেন,
“রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে উঠে দেখি রাস্তায় হাঁটুর উপরে পানি। অফিসে যেতে জুতা হাতে বের হতে হয়েছে। রিকশা কিংবা গাড়ি পাচ্ছি না, পেলেও ভাড়া তিনগুণ চাইছে। এই দুর্ভোগ তো আমাদের নিত্যদিনের—জন্ম থেকেই দেখে আসছি।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ধসের জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে এখনই যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। পানি সরাতে পাম্প বসানো হচ্ছে এবং বিকল্প রুট ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
নগরবাসীরা বলছেন, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই চট্টগ্রামের অবস্থা এমন হয়—এটা শহরের নালা-নর্দমা ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতার প্রমাণ। সময়মতো ড্রেনেজ সিস্টেম পরিষ্কার না করা, অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়ন আর জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাবেই প্রতি বছর এভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।