ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ | বাাংলা নিউজ ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভেঙে দেওয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে আজ ১৫ আগস্ট সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে একজন নারীকে পুলিশ ফেরত পাঠিয়েছে। একই দিনে আরেকজন পুরুষকে ফুল নিয়ে গেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা জোরদার থাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত ছিলো সারাদিন।
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর এক নারী, যিনি নিজেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেন, ফুল হাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে আসেন।
তিনি বলেন,
“আজকে ১৫ আগস্ট। এই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। আমি ফুল দিয়াই যামু। আমাকে হেল্প করুন।”
পুলিশ নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রবেশে নিষেধ করলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন তার হাতে থাকা ফুল মাটিতে ফেলে দেন। পরে পুলিশ তাকে রিকশায় করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লালমাটিয়া থানা ছাত্রদলের সদস্য তামজিদ ইসলাম বলেন,
“ওই নারী ভাইরাল হওয়ার জন্য এসেছেন। আওয়ামী লীগের সত্যিকারের কর্মী হলে তিনি আসতেন না। বড় নেতারাও আজ এখানে নেই।”
তিনি দাবি করেন, ওই নারী বারবার বলছিলেন, ‘হাসিনা খুন করেননি’, যা আশেপাশের জনতাকে উত্তেজিত করে তোলে।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আরেকজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে রিকশাচালক হিসেবে পরিচয় দেন, ফুল নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি দাবি করেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই, শুধুমাত্র ভালোবাসা থেকে এসেছেন।
তবে কিছুক্ষণ পর কয়েকজনের সাথে তার কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোলায়মান সুমন জানান,
“ওই ব্যক্তিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছি।”
আজ ভোর থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাড়ির সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং দুই পাশে পুলিশ ব্যারিকেড বসানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই আশেপাশের এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়।
ধানমন্ডি লেক পার্ক এলাকায় সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হয়। আয়োজকদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ‘সাধারণ ছাত্র’ বলে পরিচয় দেন।
পুলিশ জানায়, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।