বাংলাদেশের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের দাম কম, ক্ষোভ ক্রেতাদের

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২৫ । বাংলা নিউজ স্টেশন ডেস্ক 

ilish mach, hilsha fish, bangla news station
ফটোঃ সংগৃহীত, bangla news station, banglanewsstation.com

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রেলগেট সংলগ্ন মাছের বাজারে ইলিশের দাম শুনে ক্রেতা নাহিদা ইসলাম হতবাক। এক কেজির মাছের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা — যা দুই কেজি খাসির মাংসের দামের চেয়েও বেশি। বিক্রেতা আকতারুজ্জামানও বললেন, “১৭ বছর ব্যবসা করি, এমন দাম আগে দেখিনি।”

শুধু কারওয়ান বাজার নয়—মোহাম্মদপুর, বিজয় সরণি ও অন্যান্য বাজারেও একই চিত্র। ক্রেতাদের সঙ্গে দোকানিদের তর্ক, দরদাম শেষে ‘সৌভাগ্যবান’ ক্রেতাদের মাছ হাতে ফেরার দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। তবে অনেকে দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন।

ইলিশ বিশেষজ্ঞ আনিছুর রহমান বললেন, “এ দেশে ইলিশের প্রাচুর্য আছে, তারপরও এভাবে দাম বাড়া মেনে নেওয়া যায় না।”

পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি ভিন্ন
কলকাতা ও হাওড়ার বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০–৭৫০ রুপিতে (বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১,০৫০ টাকা)। ৭০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১,২০০–১,৩০০ রুপি (১,৬০০–১,৮০০ টাকা)। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৫০০–১,৮০০ রুপিতে, যা বাংলাদেশি টাকায় ২,০০০–২,৫০০ টাকা।

মূল্য পার্থক্যের কারণ
বাংলাদেশ ও ভারতের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় মিলিয়ে ১৫ এপ্রিল–১১ জুন পর্যন্ত জেলেরা মাছ ধরেননি। তবে তাতে কতটা লাভ হয়েছে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর ইলিশও সরবরাহ হচ্ছে, যা দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশি ইলিশ রপ্তানি প্রসঙ্গ
এ বছর এখনো বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যায়নি। কলকাতার ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাস জানিয়েছেন, তারা চাইছেন ১৫ আগস্টের পর রপ্তানি শুরু হোক এবং ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *