বাঁশখালীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ, বর-কনেসহ আহত অন্তত ১০ জন
দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আত্মীয়র নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, নববধূর গয়নাও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ী ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বর–কনেসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয় কে.বি কনভেনশন সেন্টারের পাশের সড়কে। বিয়ের শেষ মুহূর্তে বরযাত্রীদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, চেচুরিয়ার কেবি কমিউনিটি সেন্টারে পূর্ব বৈলছড়ী নতুন পাড়া এলাকার জাফর আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ভোলারঘাটা এলাকার মনছপ আলীর মেয়ে রহিমা আক্তারের বিয়ে হচ্ছিল।
বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। এমন সময় বরের আপন বড় বোন খালেদা বেগমের স্বামী রশিদ আহমদের নেতৃত্বে একদল লোক সেখানে এসে হামলা চালায়। অভিযোগ উঠেছে, দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই হামলার সূত্রপাত।
হামলার ঘটনায় বর জসিম উদ্দীন, তার বাবা জাফর আহমদ, ভাই জমির উদ্দীন, বোন গোলতাজ বেগম, নাছিমা আক্তার, বোনের জামাই ফজল কাদেরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময় বরের পরিহিত শেরোয়ানী ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নববধূর গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার কথাও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বরের বড় বোন খালেদা বেগম অতীতে তার স্বর্ণালংকার বন্ধক দিয়ে ভাইকে বিদেশ পাঠান। এরপর সেই স্বর্ণ ফেরত না দেওয়া এবং বিয়েতে দাওয়াত না পাওয়াকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে।
পুলিশের বক্তব্য
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,
“ভাই-বোনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল ক্লাবে না, বরং রাস্তায়। এখনও কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি।”
বিয়ের আনন্দময় পরিবেশটি মুহূর্তেই সহিংসতায় রূপ নেয়। বর-কনের পরিবার থেকে এখনও থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না করায় পুলিশ ঘটনাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
এই ধরনের পারিবারিক বিরোধের ঘটনা সামাজিকভাবে উদ্বেগজনক। সম্পর্কের টানাপোড়েনে যেন আর কোনো আনন্দঘন মুহূর্ত রক্তাক্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।