ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন হাওলাদার রনির বিরুদ্ধে বাইকচুরির অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল প্রশাসন। রবিবার (৩ আগস্ট) হল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ফারুক শাহ বলেন, “মহিউদ্দিন রনির আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে বাইকচুরির কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।”
তদন্তের ফলাফল কী বলছে?
প্রাধ্যক্ষ ড. ফারুক শাহ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, রনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর আবাসিক শিক্ষক ড. মো. জামিল শরীফকে আহ্বায়ক করে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রনি বাইক জব্দ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন এবং সেসব বাইক পরবর্তীতে হল প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে, কোনো ধরনের বাইকচুরির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের পটভূমি
২০২৪ সালের আগস্টে রনির বিরুদ্ধে কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়, তিনি তিনটি বাইকের মধ্যে একটি বিক্রি করে ফেলেছেন এবং বাকি বাইকের চাবি পরিবর্তন করে নিজের ভাইদের ব্যবহার করতে দিয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রনি অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্তের আবেদন করেন।
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে রনি বলেন, “শুরু থেকেই আমি নির্দোষ ছিলাম। মিথ্যা অভিযোগে সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়েছিল। হল প্রশাসনের তদন্ত আমার নির্দোষিতা প্রমাণ করেছে।”