শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫

ফেসবুকে তিনটি ছবি পোস্ট করলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। মুহূর্তেই ভাইরাল। নেটিজেনদের কেউ করলেন প্রশংসা, কেউ আবার তুলনা করলেন পর্নো তারকা মিয়া খলিফার সঙ্গে। ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহির মন্তব্য — “স্টাইলকে তার মতো করেই উপভোগ করা উচিত।”
বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সামিরা খান মাহি আবারও আলোচনায়। তবে এবারের আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর অভিনয় নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কয়েকটি ছবি।
দুই দিন আগে মাহি তাঁর অফিস লুক-এর তিনটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবিগুলো পোস্ট করার পর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনদের মাঝে। ৫৩ হাজারেরও বেশি রিয়্যাক্ট, আড়াই হাজারের বেশি শেয়ার — স্পষ্টই বোঝা যায়, বিষয়টি মানুষের মধ্যে কতটা আগ্রহ তৈরি করেছে।
তবে এই আগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে বিতর্কও। ছবির একজোড়া চশমা এবং সাজগোজ দেখে অনেকেই তুলনা করেছেন আন্তর্জাতিক পর্নো তারকা মিয়া খলিফা-র সঙ্গে। কারও কারও ভাষায়, মাহির ওই লুক তাঁদের মিয়ার চেহারার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

এমন তুলনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাহি। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন—
“একজোড়া চশমা দেখে কারও কারও ভিন্নভাবে মনে হতে পারে, কিন্তু আমার জন্য এটা শুধুই অফিস লুকের অংশ। প্রতিটি পোশাক বা ভঙ্গিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দেখার প্রয়োজন নেই। স্টাইলকে তার মতো করেই উপভোগ করা উচিত।”

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দেশের অন্যতম সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর সঙ্গে। মাহি জানান, ছবিগুলো আসলে একটি নাটকের দৃশ্যের অংশ, যার নাম ‘সুইট কলিগ’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ। কয়েক দিন আগে নাটকের শুটিং শেষ করেছেন তিনি।
মাহির ভাষায়—
“এটা শুধু একটা নাটকের অংশ। আর তা নিয়ে যা তুলকালাম হলো! এ নিয়ে আর কী মন্তব্য করব। সবার দৃষ্টিভঙ্গি তো আর আমি ঠিক করতে পারব না। আসলে আমি যা করি তাতেই দোষ (হাসি)।”
মাহির পোস্টে মন্তব্য করেছেন হাজারো মানুষ। কারও কারও কাছে তাঁর লুক ছিল মার্জিত ও আকর্ষণীয়, আবার কারও কাছে তা ছিল “অতিরিক্ত সাহসী”। অনেকেই বলেছেন, একজন অভিনেত্রীর সাজগোজকে সবসময় চরিত্রের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।
একজন নেটিজেন লিখেছেন—
“অভিনেত্রীদেরও যে অভিনয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সাজগোজে আসতে হয়, সেটা বোঝা উচিত। সবকিছুর সঙ্গে নেতিবাচকতা জোড়া লাগানো ঠিক নয়।”
তবে সমালোচনাকারীদের মধ্যেও কেউ কেউ বলেছেন, “শিল্পী হিসেবে মাহিকে আরও ‘সেফ লুক’ বেছে নেওয়া উচিত।”
বাংলাদেশি বিনোদন জগতে প্রায়ই দেখা যায়, অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত বা পেশাগত সাজগোজ নিয়ে অনলাইনে বিতর্ক। মাহির ঘটনা সেই ধারাবাহিকতারই আরেকটি উদাহরণ।
মাহির কথায়, “স্টাইলকে উপভোগ করতে শিখতে হবে, সেটাকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে অন্য প্রসঙ্গে নেওয়া ঠিক নয়।”


