ভারতের তারকা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল সম্প্রতি ইউটিউবার রাজ শামানির পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন অধ্যায় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে পাঁচ বছরের সংসার ভাঙার পর যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে তিনি পড়েছিলেন, তা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন তিনি।
চাহাল জানান, ধনশ্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আগে বিষয়টি জনসমক্ষে আনবেন না। তিনি বলেন, “আমরা চাইনি এটা নিয়ে আগে থেকে কোনো অপ্রয়োজনীয় আলোচনা হোক। বিচ্ছেদের আগে আমরা সামাজিক মাধ্যমে স্বাভাবিক দম্পতির মতোই থেকেছি।”
৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, বিচ্ছেদের পর তিনি ভয়ঙ্কর মানসিক চাপে ছিলেন। “কয়েক মাস আমি প্রচণ্ড হতাশায় ভুগেছি। প্রতিদিন একই চিন্তা, একটানা ২ ঘণ্টা কাঁদা, মাত্র ২-৩ ঘণ্টা ঘুমানো— এগুলো নিয়মিত চলছিল। মনে হতো, আর সহ্য করতে পারছি না। আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছিল,” বলেন চাহাল।
এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন তিনি। “আমি চাইনি আমার কারণে দলের ক্ষতি হোক। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম বলে বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে সরে দাঁড়াই,” জানান চাহাল।
বিচ্ছেদের পর তাঁকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তও করা হয়েছিল। তবে চাহাল সাফ জানিয়ে দেন, “আমি জীবনে কখনও কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আমি খুবই বিশ্বস্ত একজন মানুষ। আমার দুই বোন আছে, আমি জানি নারীদের কীভাবে সম্মান করতে হয়।”
চাহাল জানান, পরিবারের সহায়তা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কারণে তিনি এই ভয়াবহ মানসিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। গুঞ্জন চলছে, এই সময়ে আরজে মাহভাস তাঁর পাশে ছিলেন। তবে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি চাহাল।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন চাহাল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় ধনশ্রী ভরণপোষণ হিসেবে ৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি পেয়েছেন।
চাহালের মতে, “ক্রিকেট আমাকে সুখী করেছে। যখন সেটা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে, বুঝেছি আমার ভেতরে বড় সমস্যা চলছে।” তবে এখন তিনি ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ফিরছেন এবং নতুন করে ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছেন।