২৩ বছর ধরে পলাতক: হাতিয়ার জসিম উদ্দিন অবশেষে গ্রেপ্তার রাজধানীতে

📅 প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২৫
✍️ রিপোর্ট: বাংলা নিউজ স্টেশন ডেস্ক

bangla news station 111

২৩ বছর পরে অবশেষে পুলিশি জালে ধরা পড়লেন পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন, যিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘গিয়াস উদ্দিন’ নামে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি জিআর মামলায় আদালত কর্তৃক ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন (৫৫) দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
তিনি নিজের প্রকৃত নাম ও ঠিকানা গোপন করে গিয়াস উদ্দিন নাম নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁকে রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১৯৯১ সালে হাতিয়া থানায় জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি জেনারেল রেজিস্টার (জিআর) মামলা দায়ের হয়।
তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ২০০২ সালে মাননীয় আদালত তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

কিন্তু রায় কার্যকর হওয়ার আগেই তিনি নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যান।
গিয়াস উদ্দিন ছদ্মনামে তিনি গত পাঁচ বছর ধরে উপজেলার এ এম উচ্চবিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে খুঁজে পেতে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করে,
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য ও পরবর্তী ব্যবস্থা:

হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদিন বলেন,

“জসিম উদ্দিনের প্রকৃত পরিচয় উদঘাটনের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ফার্মগেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করি।
শুক্রবার দুপুরে তাঁকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান,

“হাতিয়া থানা পুলিশের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর আওতায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের খুঁজে বের করা এবং মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”

উল্লেখযোগ্য দিক:

  • ২৩ বছর পলাতক ছিলেন, পরিচয় গোপন করে জীবন চালাতেন
  • শিক্ষক পরিচয়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন
  • তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাঁকে শনাক্ত করে
  • অবশেষে আদালতের রায় কার্যকর করতে গ্রেপ্তার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *