ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। ১৫ বছর ধরে প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সামিরা ফাতিমা নামে এক নারীকে নবম বিয়ের আসর থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় একসময় স্কুলশিক্ষিকা ছিলেন সামিরা। কিন্তু চাকরিতে আয় কম হওয়ায় তিনি নেমে পড়েন বিয়ের নামে প্রতারণার কৌশলে। ঘটকালির ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে ডিভোর্সি ও সন্তানের মা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এরপর আবেগঘন গল্প শুনিয়ে পাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেন।
কীভাবে চলতো প্রতারণা?
পুলিশ জানায়, সামিরার একটি দলও ছিল। পাত্র নির্বাচনের পর সম্পর্ক গাঢ় হতেই হতো বিয়ে। বিয়ের পর শুরু হতো আসল খেলা—আইনি হুমকি ও সামাজিক বদনামের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়।
প্রথম দিকে লোকলজ্জার ভয়ে স্বামীরা অভিযোগ করতেন না। তবে সম্প্রতি দুজন ভুক্তভোগী পুলিশের দ্বারস্থ হন। একজন জানান, বিয়ের পর সামিরা তাকে ছেড়ে গিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্যজন অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে নিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।
পুলিশি ফাঁদে ধরা
নাগপুর পুলিশের নজরদারিতে থাকাকালে নবম বিয়ে করতে গিয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) হাতেনাতে ধরা পড়েন সামিরা। বর্তমানে পুলিশ তার সহযোগীদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।