গরিবের ছেলে টাকার লোভ সামলাতে পারিনি, আদালতে বললেন চাঁদাবাজ রিয়াদ

chadabaaz riyad, gulashan, bangla newsstaiton, bangladesh news, gulashan news

ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহম্মেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে দায় স্বীকার করেছেন। রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রিয়াদ আদালতে বলেন, “আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।” তিনি জানান, চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা তিনি ও তার সহযোগী জানে আলম অপু সমান ভাগে ভাগ করে নেন।

রিয়াদ জানান, গত ১৭ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি জাকির হোসেন মঞ্জুর মাধ্যমে পুলিশের সহায়তা নিয়ে প্রথমে শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান তারা। প্রথমবারে তাকে না পেয়ে ভোরে ফিরে আসেন।

পরদিন সকালে জানে আলম অপু শাম্মীর বাসা থেকে একটি এয়ারপড নিয়ে আসে। পরে সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য রিয়াদ ও অপু বাসায় ফের যান। এ সময় পানি খাওয়ার অজুহাতে ভেতরে ঢুকে শাম্মীর স্বামীকে ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। নগদ টাকা না থাকায় অবশেষে ১০ লাখ টাকা নিয়ে চলে যান তারা।

এরপর তারা বাকি টাকা তুলতে ২৫ জুলাই ফের গেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

রিয়াদের স্বীকারোক্তি:

আদালতে জবানবন্দি দিতে গিয়ে রিয়াদ বলেন,

“পানি খাওয়ার নাম করে আমরা বাসায় ঢুকে হুমকি দিই। শাম্মীর স্বামী ভয় পেয়ে টাকা দেন। পরে আমরা তা সমান ভাগে ভাগ করে নেই। আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।”

তিনি আরও জানান, অতীতে ‘ফ্যাসিবাদী লোকজন’ গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করতেন।

রিয়াদের জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই মামলায় ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকেও রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাও ছিলেন। ঘটনার পর সবাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *