বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

পাকিস্তানে টানা অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আরও ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৯ জনে। পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু নিউজ।
সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াবি, নোশেরা, মার্দান ও পেশোয়ার অঞ্চলে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুনের এলাকা, যেখানে অন্তত ২২২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বুনেরের বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
গত ২৬ জুন থেকে পাকিস্তানে বর্ষার তাণ্ডব শুরু হলেও সাম্প্রতিক কয়েকদিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন এলাকায় মেঘ বিস্ফোরণের কারণে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো, গবাদিপশু ভেসে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৭৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৪৯টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জনগণকে পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তাতার জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আহত ও অসুস্থ প্রায় এক হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন।
সূত্র: আনাদোলু নিউজ