
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে। এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ডিমোক্রেজি ক্লাউনস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ও তরুণ শিল্পী ফারিয়া মতিন ইলা। ব্যতিক্রমী কণ্ঠে ইতোমধ্যেই তরুণদের মন জয় করেছেন তিনি। এবার তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে।
ইলা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন,
“ডাকসুতে জিতলে পরদিনই বিয়ে করব ইনশাআল্লাহ। আমার শুভ বিবাহের দাওয়াত খাইতে চাইলে আমাকে ডাকসুতে জিতান।”
এই পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ মজা পাচ্ছেন, আবার অনেকে তার সাহসী অবস্থানকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তবে শুধু বিয়ের ঘোষণাই নয়, ইলার আরেকটি পোস্ট হৃদয় ছুঁয়েছে অনেককে। সেখানে তিনি তুলে ধরেন নিজের পরিবারের সংগ্রামের গল্প। ইলা জানান—
“আমার বাবা ঢাকায় এসে এক সময় রিকশা চালাতেন, আর মা শাহবাগে ফুলের দোকানে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। আমি তাদের সন্তান। আজ আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। অসংখ্য সাধারণ পরিবারের সন্তান এখানে পড়াশোনা করছে। আমি চাষার পোলাদের সংস্কৃতি অন্তরে লালন করি।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমাকে জয়ী করুন বা না করুন, আমি কাজ চালিয়ে যাব। কোনো চোখ রাঙানিতে কাজ হয় না, হবেও না।”
ঢাবিতে জয়ী হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ইলা বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা আসে। আমি চাই তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিতে। এটি কালচারাল এক্সচেঞ্জের এক অনন্য জায়গা। আমি দুই বছর কোনো কনসার্টে গান গাইনি, কারণ সব অনুষ্ঠানে ‘ছাত্রলীগ’-এর ব্যানার থাকত। আমি শিল্পী হিসেবে রাজনীতির ব্যানারে কাজ করতে চাইনি।”
তার এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। অনেকে মনে করছেন, ডাকসুর এই নির্বাচনে ফারিয়া মতিন ইলা হয়ে উঠতে পারেন ভিন্ন ধারা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি।