বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন সাবিকুন নাহার তামান্না। তিনি ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তামান্না পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৪টি ভোট, যা এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোট। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২০৪। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শুরুর দিনেই বিতর্কের জন্ম হয়। ২৬ আগস্ট ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রচারণা বোর্ড ভাঙচুর করা হয় এবং সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবি বিকৃত করা হয়।
তবে তামান্না সেই বিকৃত ছবিকেই নিজের প্রচারণার হাতিয়ার বানান। নিজের ফেসবুক আইডিতে ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন—
“স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামব না।”
এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, তামান্নার ছবিকে বিকৃত করা আসলে নারীর পোশাক স্বাধীনতা এবং নারীর প্রতি বিদ্বেষী মানসিকতার প্রকাশ।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। সারাদিনজুড়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
তামান্নার বিজয়কে অনেকেই নারী নেতৃত্বের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে উল্লেখ করছেন। বিশেষ করে হিজাব নিয়ে কটাক্ষের পরেও তিনি যে শক্ত অবস্থানে থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন, তা শিক্ষার্থীদের কাছে সাহস এবং দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তামান্নার এই জয় ভবিষ্যতে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে নারী শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
তামান্নার বিজয়কে অনেকেই নারী নেতৃত্বের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে উল্লেখ করছেন। বিশেষ করে হিজাব নিয়ে কটাক্ষের পরেও তিনি যে শক্ত অবস্থানে থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন, তা শিক্ষার্থীদের কাছে সাহস এবং দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তামান্নার এই জয় ভবিষ্যতে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে নারী শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
Pingback: ডাকসুর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জয় পেলেন স্বামী-স্ত্রী - banglanewsstation.com