প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তন্বি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৮ ভোট, যা এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত ফলাফল।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে জয়
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়—
- সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
- তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
- স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পান ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পান ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।
সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভিপি পদে পরাজিত আবিদুল ইসলাম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ফলাফল মেনে নেননি। এছাড়া আব্দুল কাদের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। তবে জগন্নাথ হলে সাদিক কায়েম মাত্র ১০ ভোট পান, যেখানে আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
- মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন।
- এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
- ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
- পাশাপাশি ১৮টি হলে অনুষ্ঠিত হল সংসদ নির্বাচনে ২৩৪টি পদে ১,০৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সব মিলিয়ে ভোটারদের একসঙ্গে ৪১টি ভোট প্রদান করতে হয়।
জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে আলোচিত ছিলেন সানজিদা আহমেদ তন্বি। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয়লাভের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। শিক্ষার্থীদের মতে, তার নিরপেক্ষ অবস্থান এবং সাংগঠনিক দক্ষতাই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।