ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মুছে ফেলল পাকিস্তান জামায়াত

প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

pakistan jamaat deletes post daksu election 2025

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের বিজয়ের পর পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শুভেচ্ছা জানায়। তবে পোস্টটি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই রহস্যজনকভাবে মুছে ফেলে সংগঠনটি।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেওয়া সেই পোস্টে পাকিস্তান জামায়াত লিখেছিল—
“বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো। দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। ইতিহাসে এটি প্রথমবার ঘটল।”

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ওই পোস্টটি আর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতেই এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ডিলিট করা পোস্টে আরও বলা হয়, শিবিরের এই বিজয় বাংলাদেশি ছাত্র-তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নতুন গতি যোগ করবে। পাশাপাশি ভারতের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলেও মন্তব্য করেছিল পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী।

Ad Page

তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারেরও প্রশংসা করেছে। পোস্টে বলা হয়, সব প্রতিকূলতার মধ্যেও সরকার স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, যা গণতান্ত্রিক চর্চার একটি দৃষ্টান্ত।

পাকিস্তান জামায়াতের এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিদেশি রাজনৈতিক দলের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল।

অন্যদিকে সমর্থকরা বলছেন, শিবিরের এই জয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। তবে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ায় কৌতূহল আরও বেড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাসে এবারই প্রথম শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ প্যানেল পূর্ণাঙ্গভাবে জয়লাভ করে। তারা কেন্দ্রীয় সংসদসহ অধিকাংশ হল সংসদেও জয়ী হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

যদিও পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী তাদের পোস্ট মুছে ফেলেছে, তবে তাদের বার্তা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *