স্বামী Charlie Kirk-এর খোলা কফিনের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

charlie kirk widow open casket

মার্কিন রক্ষণশীল ধারার আলোচিত ভাষ্যকার Charlie Kirk-কে গত বুধবার Utah Valley University ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য বক্তৃতাকালে গুলি করে হত্যা করা হয়। মাত্র ৩১ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন Turning Point USA-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। এই হত্যাকাণ্ডে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়।

তার মৃত্যুর দুই দিন পর, শুক্রবার সকালে, তার স্ত্রী Erika Kirk নিজের Instagram অ্যাকাউন্টে স্বামীর শেষ মুহূর্তের এক হৃদয়বিদারক ঝলক শেয়ার করেছেন, যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

Erika Kirk ১২টি ছবি এবং কয়েকটি ছোট ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় তিনি স্বামীর খোলা কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

একটি ভিডিওতে তিনি স্বামীর নিথর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার বলছেন,

“I love you… I love you…”

তিনি স্বামীর নিথর হাত ধরে আদর করছেন, চুমু খাচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি কালো পোশাকে মাথা নত করে কফিনের উপর ঝুঁকে আছেন। অন্য একটি ছবিতে তিনি স্বামীর হাত ধরে আছেন, পাশে রয়েছেন JD Vance এবং তার স্ত্রী Usha Vance।

Ad Page

একপর্যায়ে দেখা যায়, তারা তিনজন বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন চার্লি কার্কের কফিনটি সামরিক সম্মান প্রদর্শন করে বিমানে তোলা হচ্ছে।

শেষ ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক সদস্যরা ব্যাগপাইপের সুরের মাঝে পদযাত্রা করে কফিন সংগ্রহ করছে এবং সেটি বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে তোলা হচ্ছে। পুরো দৃশ্যটি ছিল একেবারে হৃদয়স্পর্শী, যা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র আলোড়ন তুলেছে।

Charlie Kirk-এর হত্যাকাণ্ডে শুধু রক্ষণশীল নয়, লিবারেল পক্ষ থেকেও শোক ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, আমেরিকান রাজনীতিতে ঘৃণা ও সহিংসতার মাত্রা এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

এই হত্যার ঘটনায় JD Vance-সহ রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট— উভয় দলের শীর্ষ নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বহু বিশ্লেষক মনে করছেন, মার্কিন রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ব্যক্তিগত আক্রমণই সহিংসতা বাড়িয়ে তুলছে।

এই হত্যার তদন্ত বর্তমানে জোরদারভাবে চলছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, তারা হত্যাকারীর উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছে।

যখন সামরিক কর্মকর্তারা কফিনটি বহন করছিলেন, তখন Erika Kirk স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার চোখে তখনও অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। তিনি বলেন,

“আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না… আমার চার্লিকে আর কখনো পাব না।”

তার এই আবেগঘন বিদায় দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো মানুষকে কাঁদিয়েছে।

📌 সূত্র: BBC

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *