ডাকসুর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জয় পেলেন স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশ : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

daksu-husband-wife-win-2025
daksu-husband-wife-win-2025, screenshot from dhaka post video

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এক দম্পতি। প্রথমবারের মতো স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জয় লাভ করলেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে।

বিজয়ী দম্পতি হলেন রায়হান উদ্দিন ও উম্মে সালমা। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। রায়হান ২০১৮-১৯ সেশনের এবং উম্মে সালমা ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

বিস্তারিত ফলাফল
উম্মে সালমা ৯ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে কমনরুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে, তার স্বামী রায়হান উদ্দিন ৫ হাজার ৮২ ভোট পেয়ে কেন্দ্রীয় সদস্য পদে জয়লাভ করেছেন।

Ad Page

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর আয়োজিত এ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভোটারদের ভিড়, উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়।

আরো পড়ুনঃ হিজাব নিয়ে কটাক্ষের শিকার তামান্নার জয়জয়কার, ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট

ভোটগ্রহণের চিত্র
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথ স্থাপন করা হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, যা ছাত্রদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।

প্রার্থী ও পদসংখ্যা
ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৪৭১ প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন ছিলেন।

এই নির্বাচনে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে জয় প্রমাণ করেছে যে পারিবারিক সম্পর্ক গণতান্ত্রিক অঙ্গনেও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। এটি ডাকসুর ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *