প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেট নগরের লাক্কাতুরা এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মীর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবকের নাম রাহাত হোসেন (২৪)। তিনি নগরের বনকলাপাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন হেলমেটধারী দুর্বৃত্ত হঠাৎ রাহাতের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপাতে থাকে। এতে তার হাত-পায়ের রগ কেটে যায় এবং বাম হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।
রাহাতের বাবা ফারুক হোসেন জানান, তার ছেলে এক বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে সান্ত্বনা জানাতে গিয়েছিল। তখনই দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে হামলা চালায়। তিনি অভিযোগ করেন, “ওরা আমার ছেলের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, পায়ের হাড় ভেঙে দিয়েছে। সারা শরীরে আঘাত করেছে। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে বড় একটি অপারেশন হয়েছে।”
ফারুক হোসেন আরও জানান, রাহাত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রায় আট-নয় মাস আগে এলাকার কিছু লোকের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছিল। স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি মীমাংসা করলেও সেই শত্রুতার জেরেই এই হামলা হতে পারে বলে তার ধারণা।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “লাক্কাতুরা চা-বাগান এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাহাতের হাত-পায়ে আঘাত করেছে। হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, “পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সিলেটে এই হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ ধরনের হামলা ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে, তদন্তের মাধ্যমে আসল কারণ ও হামলাকারীদের খুঁজে বের করা হবে।