প্রকাশিত :৩১ আগস্ট ২০২৫

ট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্থানীয় লোকজন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট ২০২৫) দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফসহ অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার গভীর রাত থেকে শুরু হয় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ, যা সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আহতদের মধ্যে অনেককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—
“দেশের অন্যতম প্রধান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর হামলার পরও পুলিশ ও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“ইন্টেরিম সরকার, আপনারা কি ভুলে গেছেন কাদের রক্তের ওপর আপনাদের ক্ষমতার মসনদ দাঁড়িয়ে আছে? আমরা আজ ক্লান্ত। জানিনা সামনে আরও কী ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। আমাদের নিজেদেরকেই রক্ষা করতে হবে। সবাইকে আহ্বান জানাই, আমার ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ান।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের সহিংসতা শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তও সম্পূর্ণভাবে উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা দেশের উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম নিতে পারে।