ড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন (২৩) নামে এক তরুণ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে য়ের শিবরামপুর এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
নিহত শোভন শুভ র মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি -এ চাকরির সুবাদে পরিবারের সঙ্গে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লায় বসবাস করছিলেন।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যায় শোভন ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে থেকে র দিকে ফিরছিলেন। তারা শিবরামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি রিকশা হঠাৎ গলিপথ থেকে মহাসড়কে উঠে আসে। মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তিনজনই ছিটকে পড়ে যান।
ঠিক সেই সময় পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক শোভনের মাথার ওপর দিয়ে উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় অপর দুই বন্ধু ে ভর্তি আছেন।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, “এই দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছেন। ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
নিহত শোভনের প্রতিবেশী জানান, শোভন সদর উপজেলার বৈঠাখালী দয়ারামপুর গ্রামে মামা র বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। দুর্ঘটনার দিন শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে তিন বন্ধু বাড়ি ফিরছিলেন। শিবরামপুর এলাকায় তাদের মোটরসাইকেল একটি ভ্যানে ধাক্কা খেলে শোভন পেছন থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। তখনই একটি ট্রাক তাকে পিষে দেয়।
র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনাস্থলে এক তরুণ নিহত হয়েছেন এবং আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি এখনও আটক করা যায়নি, তবে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
পরিবারে কান্নার রোল, স্তব্ধ গ্রাম
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোয়ালচামট মহল্লা ও বৈঠাখালী গ্রামের মানুষজন শোকাহত হয়ে পড়েন। নিহত শোভনের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, “আমার ছেলেটা পড়াশোনা শেষ করে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিল। এক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।”
শোভনের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। স্বজনরা একের পর এক ছুটে আসেন প্রিয়জনকে শেষবারের মতো দেখতে। প্রতিবেশীরা বলেন, “শোভন ভদ্র ও পরিশ্রমী ছিল। এমন করুণ মৃত্যু আমাদের জন্য এক ভয়াবহ আঘাত।”
স্থানীয়রা দুর্ঘটনাস্থলে গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। তারা জানান, “এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। যথাযথ সাইনবোর্ড ও স্পিডব্রেকার না থাকায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।”
