১৭ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

কাজী আব্দুল গফুর রাফে, ২৪ বছর বয়সী তরুণ বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ন্যারেটিভ রাইটার। তিনি মূলত বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ভিডিও স্ক্রিপ্ট তৈরি করেন, যেখানে সমাজের অচেনা গল্প, অবিচার এবং মানুষের অবহেলিত কণ্ঠস্বর তুলে ধরা হয়। তার কাজ কেবল বিনোদন নয়; এটি তরুণ সমাজের মধ্যে সচেতনতা ও নৈতিক চেতনা বৃদ্ধি করে।
রাফে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সন্দ্বীপে, কিন্তু বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি জ্ঞান, নৈতিকতা এবং দায়িত্বশীল মনোভাবের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (USTC) থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন তিনি বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা ও শিক্ষার প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করেছেন।
গল্প বলার শিল্পে দক্ষতা
রাফে কেবল লেখক নন, তিনি গল্প বলার মাধ্যমে সমাজের নানা সমস্যা চিহ্নিত করতে পারদর্শী। তার ভিডিও স্ক্রিপ্টগুলোতে মানুষের জীবনযাত্রা, সামাজিক বৈষম্য, এবং নীরব কণ্ঠস্বরের উপর আলোকপাত করা হয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই কাজটি একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, “গল্প বলার মাধ্যমে মানুষকে ভাবিয়ে তুলতে পারলে সমাজ বদলানো সম্ভব।”
প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা

শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েশনেই নয়, রাফে ব্যাকএন্ড ওয়েব ডেভেলপার হিসেবেও দক্ষ। তিনি নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যবহারকারীবান্ধব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন। গুগল অ্যানালাইটিক্সে সার্টিফাইড এবং গুগল সার্চ কনসোলে পারদর্শী হিসেবে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজি নিয়েও কাজ করেন। এই দুটি ক্ষেত্র মিলিয়ে তিনি প্রযুক্তি ও গল্প বলার শিল্পকে একত্রিত করে প্রভাবশালী ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করেন।
সমাজসেবায় অবদান
রাফে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নৈতিকতার উপর জোর দেন। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষাজীবন কেবল বইয়ের জ্ঞান নয়, বরং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার সামর্থ্য তৈরি করে। তিনি তরুণদের উৎসাহিত করেন যেন তারা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সমাজের জন্যও কিছু করতে আগ্রহী হয়।
Read More: Kazi Abdul Gofur Rafea Inspiring Young Minds Through Stories and Technology
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি
কাজী আব্দুল গফুর রাফে তার লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজকল্যাণকে একত্রিত করে সমাজে কার্যকর ভূমিকা রাখা। তার দৃঢ় সংকল্প ও উদ্যম দেখলে বোঝা যায়, তিনি শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, পুরো সমাজকে আলোকিত করতে চাইছেন।
রাফের কাজ সমাজ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং গল্প বলার একটি অনন্য সংমিশ্রণ, যা স্থানীয় পর্যায়ে নয়, দেশের বৃহত্তর পর্যায়েও তাকে একজন প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তরুণদের জন্য তার জীবন ও কাজ একটি প্রেরণার দৃষ্টান্ত, যা দেখায় কিভাবে জ্ঞান, দক্ষতা এবং নৈতিকতা একত্রিত করে সমাজে প্রভাব ফেলা যায়।
Pingback: Kazi Abdul Gofur Rafea – Stories & Technology Inspiration - banglanewsstation.com