রবিবার ৩১ আগস্ট ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পুলিশ মানবিক হলে সহিংসতা হচ্ছে, আগুন লাগানো হচ্ছে। আবার কঠোর হলে সমালোচনা হচ্ছে।”
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বক্তব্য দেন উপদেষ্টা।
রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এ জন্য হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “আগুন ধরানোর আগেই যদি পুলিশ অ্যাকশনে যেত, তখন আবার পুলিশের সমালোচনা করা হতো। অর্থাৎ মানবিক হলে সহিংসতা বাড়ছে, কঠোর হলে সমালোচনা হচ্ছে—এই দ্বৈত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।”
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচন প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তবে চূড়ান্ত পরিস্থিতি নির্ভর করছে কোন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তার ওপর।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গত এক বছরে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোট ১ হাজার ৬০৪ বার সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, ১২৩টি ভিন্ন সংগঠন মিলেই এই সড়ক অবরোধ করেছে। এর ফলে রাজধানীতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা শহরের যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হলো সড়ক অবরোধ। একটি রাস্তা বন্ধ হলে পুরো শহরে প্রভাব পড়ে।”
তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গায় আন্দোলন করেন এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকেরই প্রতিবাদের অধিকার আছে। তবে সে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে অসহনীয় ভোগান্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়।
তিনি জানান, সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। একদিকে জনগণের অধিকার রক্ষা, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ—এই দুই চ্যালেঞ্জ নিয়েই সরকার কাজ করছে।